অনির্বাণের কার্যক্রমকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, ১১ জন সংগ্রামী নারীর পাশে দাঁড়াতে পারা, অনির্বাণ সাংস্কৃতিক সংসদ এবং নকশী কাঁথা ব্যান্ডের পরিবেশনায় অভূতপূর্ব সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করা, অনির্বাণ নারী সেল সংস্কৃতিক সংসদ এবং স্বেচ্ছাসেবকদের কাজের প্রতি নিষ্ঠা কাছ থেকে দেখা, ঢাকা থেকে অনির্বাণের সাথে যুক্ত বন্ধু- স্বজন এবং খুলনা এবং সাতক্ষীরা থেকে প্রিয় সহকর্মীদেরকে অনির্বাণ প্রাঙ্গনে একসাথে দেখা- সবই ছিল অপার আনন্দের উপলক্ষ্য।
মানব পাচার বিরোধী সচেতনতামূলক কনসার্টে খুলনা-৬ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য, স্বস্ত্রীক খুলনার মান্যবর পুলিশ কমিশনার, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর খুলনা বিভাগীয় প্রধান, খুলনা বেতরের পরিচালক, খুলনা পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের ডেপুটি কমান্ডেন্ট, খুলনা এবং সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার, খুলনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পাইকগাছা, সার্কেল এএসপি, পাইকগাছা এবং তালার অফিসার ইনচার্জ, জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ারের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত অডিশনাল আইজিপি মোশাররফ হোসেন, কর্মসূচি সমন্বয়ক বেলাল সাহেবসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ এবং এলাকার কয়েক হাজার মানুষের উপস্থিতি- এমন ঘটনা সচরাচর ঘটে না।
সাংস্কৃতিক প্রোগ্রামের আগে অনির্বাণ নারীর সেলের উদ্যোগে ১১ জন সংগ্রামী নারীকে সেলাই মেশিন দেওয়া হয়। বন্ধু, অনির্বানের দাতা এবং উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য নারায়ণগঞ্জের হাসান বশির সিংহভাগ অর্থায়ন করেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের খরচের একটি বড় অংশ বহন করেছেন “কেয়ার এন্ড জাস্টিস”। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।
অনির্বাণ নারী সেল একটি দারুণ উদ্যোগ নিয়েছেন। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। অনির্বাণের স্বেচ্ছাসেবকরা আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। সকল কাজের দক্ষতার সাথে সমন্বয় করেছেন অনির্বাণের সাধারণ সম্পাদক প্রভাত দেবনাথ ও সভাপতি রহিমা আক্তার শম্পা।
প্রচন্ড গরম উপেক্ষা করে যে সকল অতিথিরা ঢাকাসহ অন্যান্য স্থান থেকে গিয়েছেন, অনির্বাণে রাত্রি যাপন করেছেন তাদের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা। যাওয়ার প্রবল ইচ্ছা সত্ত্বেও যে সকল বন্ধুরা যেতে পারেননি তাদেরকে আমরা ভীষণভাবে মিস্ করেছি।
জেলা শহর থেকে ৬০ কিলোমিটার, উপজেলা সদর থেকে ১২ কিলোমিটার দূরের একটি প্রত্যন্ত গ্রামের প্রতিষ্ঠানের আয়োজন এবং আপ্যায়নে যে সকল ত্রুটি- বিচ্যুতি হয়েছে সেগুলিকে সবাই ক্ষমার চোখে দেখবেন এই প্রত্যাশা।