হয়তো অনেকেই ভুলে গেছেন, আমরা অনির্বাণ লাইব্রেরির পক্ষ থেকে জুলাই মাসের ১৪ তারিখে গুরুতর অবস্থায় অগ্নিদগ্ধ শিশু মারিয়ার চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছিলাম। ৫ বছরের শিশুটি তখন ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছিল। গার্মেন্টসকর্মী পিতা আলাউদ্দিন কি করবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না। মেয়ের এই অবস্থায় দরিদ্র অসহায় বাবার মনের অবস্থা কি হতে পারে সেটুকু উপলব্ধি করার মত অনুভূতি সৃষ্টিকর্তা এখনও বাঁচিয়ে রেখেছেন। বর্তমানে তার অবস্থা অনেকটাই ভালো, সে এখন আশঙ্কামুক্ত বলে ডাক্তাররা জানিয়েছেন। তাকে ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়েছে দীর্ঘ ২৯ দিন পর। অনির্বাণ লাইব্রেরির পক্ষ থেকে গভীর কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি বার্ন ইউনিটের প্রধান ডাঃ সামন্ত লাল সেন সহ অন্যান্য চিকিৎসকদের। এই ক্রান্তিকালে তারা মেয়েটির সর্বোচ্চ যত্ন নিয়েছেন। অনির্বাণের উপদেষ্টা এপিএস Group এর সম্মানিত চেয়ারম্যান হাসিব ভাইকে ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করতে চাই না। তার আগ্রহেই মূলত অনির্বাণ এগিয়ে এসেছিল। তিনি উদ্যোগ না নিলে অনির্বাণ এর পক্ষে এগিয়ে আসা সম্ভব হতো না। আজ কথা হলো আলাউদ্দিনের সাথে, ভীষণ খুশি এবং আবেগাপ্লুত সে। অনির্বাণ এবং ডাক্তারদের প্রতি কৃতজ্ঞতার শেষ নেই তার। আমরা আশ্বাস দিয়েছি শেষ পর্যন্ত তার পাশে থাকার। আপনারা সকলেই মেয়েটির জন্য প্রাণভরে দোয়া করবেন। অনির্বাণ এর সদস্যরা যদি সহায়তার হাত বাড়ান, ভবিষ্যতে এ জাতীয় মানবিক কর্মসূচিতে আমাদের অংশগ্রহণ আরো বৃদ্ধি পাবে।
Recent Comments