শুরু থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত অর্নিবাণ লাইব্রেরীর কার্যক্রম অনস্বীকার্য। করোনাযুদ্ধে তাদের সামাজিক নানা কার্যক্রমের প্রতিফলন এলাকাবাসীর মাঝে ধারাবাহিক ভাবে ছড়িয়ে চলেছেন অর্নিবাণ লাইব্রেরীর একদল যুবক সৈনিক। প্রতিনিয়ত উক্ত সংগঠনের পক্ষ থেকে ব্যাতিক্রমি আয়োজনের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠানটির সুনাম এখন সর্বত্র। দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশেও সমান ভাবে সুনাম অর্জন করে চলেছে প্রতিষ্ঠানটি। আর প্রতিষ্ঠানের আলোকবর্তীকা সমাজের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছে লাইব্রেরী পরিচালনা কমিটির সদস্যবৃন্দ। মামুদকাটী গ্রামের কৃতি সন্তান, সিলেট রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি ও অর্নিবাণ লাইব্রেরীর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা জয়দেব কুমার ভদ্র ও একই এলাকার জাতীয় দৈনিক কালের কন্ঠ পত্রিকার ষ্টাফ রিপোর্টার নিখিল চন্দ্র ভদ্রের সার্বিক দিক নির্দেশনায় করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন লাইব্রেরীর সাধারণ-সম্পাদক প্রভাত দেবনাথ। প্রতিদিন তাদের নানাবিধ ব্যাতিক্রমি আয়োজনের জন্য অতি অল্প সময়ে এলাকার মানুষের মনিকোঠায় খুব সহজে জায়গা করে নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। সম্প্রতি সময়ে করোনা-যুদ্ধের কার্যতালিকার অংশ অনুযায়ী এলাকা ভিত্তিক করোনা প্রতিরোধ সচেতনতা কমিটি গঠন, করোনা বিষয়ক প্রশাসনিক কর্মকর্তা, শিক্ষক ও এলাকার সুধীজনদের সাথে দফায় দফায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধমূলক মতবিনিময়সভা অব্যাহত রেখেছেন। এলাকার প্রতিটি পাড়া মহল্লার রাস্তায় অর্নিবাণ লাইব্রেরীর যুবক সৈনিকরা জীবাণু প্রতিষেধক স্প্রেসহ মানুষের মাঝে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্য নিরলস পরিশ্রম করে চলেছে। অর্নিবাণ লাইব্রেরীর কর্মকান্ড শুধুমাত্র করোনার মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে তা নয়। চলতি বরো মৌসুমে প্রাকূতিক দূর্যোগের কবলে যখন প্রান্তিক ধান চাষীরা ঠিক সেই মূর্হেতে কৃষকের জমির ধান কেটে বাড়ীতে পৌঁছে দিচ্ছেন তারা। আবার কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে পড়ে বিধ্বস্ত অসাহয়ত্ব পরিবারের ঘরবাড়ী স্বেচ্ছা-শ্রমের মাধ্যমে পৃর্বের ন্যায় তৈরী করে বাসবাসযোগ্য করে দিচ্ছে অর্নিবাণ লাইব্রেরীর সৈনিকবৃন্দ। তাদের নানাবিধ সামাজিক কর্মকান্ড নজর কেড়েছে দক্ষিণ জনপদ পাইকগাছা-সহ বাংলাদেশের প্রতিটি স্তরের মানুষের। মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত ও বিজ্ঞানী স্যার পিসিরায়ের স্মৃতি বিজড়িত কপোতাক্ষের কোল ঘেঁষে মামুদকাটী গ্রামের অজপাড়া গায়ে অবস্থিত একটি লাইব্রেরী শুধু জ্ঞান অর্জনের মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে ঠিক তা নয়। যেটির মাধ্যমে পুরো মানবসমাজ ও দেশের উন্নয়ন কর্মকান্ডে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে তা অর্নিবাণ লাইব্রেরীর মাধ্যমে মানুষের মাঝে আশার সঞ্চল জেগেছে। লাইব্রেরীর ধারাবাহিক কার্যক্রমের তালিকায় করোনায় কর্মহীন হয়ে পড়া এলাকার অস্বচ্ছল, হতদরিদ্র, দিনমুজুর পরিবারের সদস্যদের বাড়ী বাড়ী নিরবে-নিভূতে গিয়ে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন । একটি লাইব্রেরী শুধু জ্ঞানের আলো ছড়াতে পারে তা নয়। যেটির মাধ্যমে পুরো সমাজকে আলোকিত করা যায় সে লক্ষ্য আমাদের এত আয়োজন। শুধু করোনা সংকটে নয়, যে কোন জনহিতকর কাজে আমরা সকলে বদ্ধপরিকর। অর্নিবাণ লাইব্রেরীর কর্যক্রম শুধু মামুদকাটী, পাইকগাছা উপজেলা ও খুলনা জেলার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। এর সকল কর্মকান্ডের আলোকবর্তীকা বাংলার প্রতিটি ঘরে একদিন পৌঁছে যাবে। আর সে লক্ষ্য অঙ্গিকার নিয়েই আমাদের আগামীর পথচলা।